ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, ঘটনার পর শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই হেলালকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে মারধরের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
আহত মোফাজ্জল হোসেন (২২) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের আরাজি লস্কারা গ্রামের রওশন জামান বুদুর ছেলে। তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মোফাজ্জল বলেন, “রাতে আমার মাইক্রোবাস নিয়ে ঠাকুরগাঁও গোয়েন্দা পুলিশের এসআই নূর আলম, এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন, এএসআই হেলালসহ পলিশের একটি দল বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাদামবাড়ি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে যায়।”
“এ সময় তারা গাড়ি দ্রুত গতিতে চালাতে বলে। তা না করায় এএসআই হেলাল আমাকে চড়-থাপ্পর মারে ও মারধর করে।”
তিনি বলেন, পরে গাড়িটি নিয়ে রাণীশংকৈল শ্রমিক ইউনিয়ন গিয়ে শ্রমিক নেতাদের ঘটনাটি জানালে তারা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঠাকুরগাঁওয়ে পাঠানো হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে চিকিৎসক শুভেন্দু কুমার দেবনাথ বলেন, “মোফাজ্জলের ডান গালে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”