জমির কাগজ পেল দাসিয়ার ছড়ার বাসিন্দারা

সরকারি প্রাক জরিপ, মালিকানা শনাক্তকরণ ও রেকর্ডের কাজ শেষে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের হাতে জমির মালিকানার দলিল হস্তান্তর করেছে প্রশাসন।

আহসান হাবীব নীলু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2017, 05:56 PM
Updated : 9 Nov 2017, 05:56 PM

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়ায় হস্তান্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

দাসিয়ারছড়া কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দাসিয়ারছড়ার ৩,৩৭৬টি খতিয়ানে ৭,৩৫৮টি দাগে ১,৬৪৩ দশমিক ৪৪ একর জমির প্রিন্ট পর্চা ও নকশা ফুলবাড়ী উপজেলা প্রসাশন ও উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস হস্তান্তর করেছে।

রংপুর জোন সেটেলমেন্ট অফিসার মোহা. আব্দুর রফিক জানান, সরকারের বিশেষ নির্দেশে প্রায় ২ বছরের মধ্যে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। আগামী একমাস পর্যন্ত মালিকানা স্বত্বলিপি ও নকশা প্রদান অব্যহত থাকবে। এরপর স্বত্বলিপি ও নকশার প্রকাশনা শেষ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে গেজেট করার প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

“আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে গেজেটের মাধ্যমে খতিয়ান ও নকমার রেকর্ডসমূহ সকল বিভাগে পাঠানো হবে; যেখান থেকে জমির মালিকগণ তাদের নকল তুলতে পারবেন।”

জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, জমির কাগজপত্র না থাকার কারণে যেসব জমি সংক্রান্ত জটিলতা ছিল সেই সমস্যার এখন সমাধান হয়েছে।

মালিকানার কাগজ হাতে পেয়ে আনন্দিত দাসিয়ারছড়ার কালীকান্ত রায়, জুলহাস মন্ডল বলেন, এতদিন ভোগদখল করলেও ৭০ বছর পর আজ কাগজেকলমে তারা জমির মালিক হয়েছেন।

কালীকান্ত রায় বলেন, “এখন থেকে জমি রেজেস্ট্রি করতে আর কোনো সমস্যা হবে না। এখন আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে বাংলাদেশি হতে পারলাম।”

সুনতী রানী সেন বলেন, “এই কাগজ পাওয়ায় অনেক উপকার হইল। এলা আর জোর করি কেউ হামার জমি দখল করবার পাবে না। কেনাবেচা করলেও সঠিক দাম আর সঠিক পরিমাণের জমি বিক্রি করা যাবে। কাগজ না থাকার কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল হামার ছিটবাসীক।”  

রংপুর জোনাল সেটেল্টমেন্ট অফিসার মোহা. আব্দুর রফিকের সভাপতিত্বে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান নজির হোসেন, ইউএনও দেবেন্দ্রনাথ উরাঁও, ফুলবাড়ী থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।