‘প্রেমিকাকে মোবাইল ফোন দেওয়ায়’ সংঘর্ষ, তরুণ নিহত

‘প্রেমিকাকে মোবাইল ফোন উপহার দেওয়া’ নিয়ে সংঘর্ষে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় এক তরুণ নিহত হয়েছেন; আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ছয় জন।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2017, 01:11 PM
Updated : 5 Nov 2017, 01:11 PM

শনিবার দুপুরে উলিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারামক্ষেত্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান উলিপুর থানার ওসি এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ।

নিহত মিঠুন চন্দ্র দাস বর্মন (১৭) ওই গ্রামের তুলসি দাস বর্মনের ছেলে। তিনি মেয়েটির জ্যাঠাতো ভাই বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

আহতরা হলেন মৃত চেংটু দাসের ছেলে তুলসি দাস বর্মন (৪৫), সুদর্শন চন্দ্রের স্ত্রী আরতি রানী (৩৫), কমল চন্দ্রের চেলে রনজিৎ কুমার (৪৫), টগর রামের ছেলে পরিমল চন্দ্র (৩০), লক্ষ্মী নারায়ণের স্ত্রী নন্দ রানী (৪৫) ও খগেন চন্দ্রের স্ত্রী পূর্ণিমা রানী (৩৭)।

এদের মধ্যে পাঁচজনকে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তুলসি দাস বর্মনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জন আটক করা হয়েছে।

নিহতের চাচা পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, রাজারামক্ষেত্রী গ্রামের নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী খগেন চন্দ্রের ছেলে ভূষণ চন্দ্রের (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ ঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল।

“এক মাস আগে ভূষণ ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নেন। ৩/৪ দিন আগে ভূষণ ওই মেয়ের জন্য একটি নতুন মোবাইল ফোন কিনে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।”

পরেশ বলেন, শনিবার সকালে মোবাইল ফোনটি ভূষণের দুই চাচাতো ভাই মেয়েটিকে দিতে গেলে তার পরিবারে লোকজন তাদের আটকে মারধর করে।

“এর জেরে শনিবার দুপুরে ভূষণের পরিবারের লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে মেয়ের পরিবারের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।”

আহতদের প্রথমে উপলিপুর উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেকান থেকে তুলসি ও তার ছেলে মিঠুনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোববার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মিঠুনের মৃত্যু হয়।

ওসি আব্দুল্লাহ জানান,পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের টগরুর ছেলে সুমন চন্দ্র (১৮) ও দেবেন চন্দ্রের ছেলে রবি চন্দ্র দাসকে (৪৫) আটক করেছে।