রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কর্তিমারী বাজারের বাড়ি থেকে আনিসুর রহমান আনিসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আনিস দৈনিক সংবাদের রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি।
আনিস বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর হাট খোলাপাড়ার আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়ার (২৪) ফেসবুক আইডি থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করে একটি পোস্ট আসে।
“আমি এর স্ক্রিনশট নিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহ কামলকে পাঠাই এবং আমার পেশাগত কাজের প্রয়োজনে সংগ্রহ করি।
“কামাল ওই দিনই রৌমারী থানায় সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। দীর্ঘদিনেও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। হঠাৎ মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আমাকে আটক করার পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।”
আনিসের ছোট বোন পারভীন আক্তার বলেন, “যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখওয়াত হোসেন সবুজ এ মামলার ১ নম্বর সাক্ষী। আমাদের জমি জবরদখল করে আছেন তিনি। এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলছে। এ কারণে এই মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।”
রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা জানান, আনিস দীর্ঘদিন ধরে সততার সঙ্গে কাজ করে আসছেন। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করায় তাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।
ওসি জাহাঙ্গীর বলেন, কামালের অভিযোগের ভিত্তিতে আনিসকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে।
তবে কামাল বলছেন, “আমি আনিসের নামে মামলা করিনি। কিন্তু পুলিশ যে অভিযোগপত্রটি আদালতে দিয়েছে সেখানে আনিসের নাম দেখতে পাচ্ছি।”
এ বিষয়ে রৌমারীর সহকারী পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতির অভিযোগ পেলে আমরা আইজিপির অনুমতির জন্য পাঠাই।
“অনুমতি পাওয়ার পর মামলা করা হয়েছে। আনিসকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
তবে আনিস কিভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী) আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন সাংবাদিককে আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
আনিসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রৌমারী প্রেসক্লাব, রাজিবপুর প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখা, কুড়িগ্রাম টেলিভিশন-অনলাইন সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছে।