আমন রক্ষায় ‘আলোর ফাঁদ’

রোগ বালাই ও পোকা থেকে আমন ধান রক্ষায় গোপালগঞ্জ সদরে ৫০০ ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করেছে কৃষি বিভাগ।

মনোজ সাহা গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2017, 02:33 PM
Updated : 16 Oct 2017, 02:33 PM

জেলার কৃষকরা বলেছেন, পরিবেশবান্ধব ও কম খরচের এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমন ধানে এখনও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়নি।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ ‘আলোর ফাঁদ’ সর্ম্পকে বলেন, সন্ধ্যার পর ক্ষেতের পাশে অথবা আইলে ফাঁদ হিসেবে বাতি জ্বালানো হয়। বাতির নিচে একটি পাত্রে রাখা হয়ে সাবান, ডিটারজেন্ট কিংবা কেরোসিন মেশানো পানি।

ওই পানিতে পোকামাকড় বসলে বা পড়লে আর উঠতে পারে না। এরপর ধানের জন্য ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত করা হয়। কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে কিনা তার পরার্মশ দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে ছয় হাজার ৭৪৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। রোগবালাই ও পোকামাকড় থেকে আমন রক্ষায় এ উপজেলার ৪৮টি ব্লকে ৫০০ ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত গোপালগঞ্জে আমন ফসলে পোকার আক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা।

সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের কৃষক আরোজ আলী, দিলীপ রায়, নওশের ইসলাম, আকরাম আলী, ননী গোপাল রায়, সাধু বৈদ্য জানান, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আমন ধানের আবাদ করেছেন তারা।

কৃষি বিভাগের স্থাপন করা পরিবেশবান্ধব ও কম খরচের ‘আলোর ফাঁদের’ মাধ্যমে ফসলকে রোগবালাই থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি তাদের।

গোপালগঞ্জ পৌরসভার সোনাকুড় গ্রামের রেজাউল হক সিকদার রিজু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুসারে কাজ করে আমরা ফসল রক্ষা করছি। পোকার আক্রমণ হয়নি, ভালো ফলনও হয়েছে।

“এক মাসের মধ্যে ধান কাটব, এ ধান দিয়েই আমরা নবান্ন উৎসব করব।”

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, কৃষি বিভাগ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়েছে। তাই কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ‘আলোর ফাঁদে’ পোকা দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করে কৃষক আরও বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করেছেন তিনি।