উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম ও হামরকোনা যুবসমাজের উদ্যোগে শনিবার বিকালে এ প্রতিযোগিতা হয়।
জলপবন, জলরাজ, উড়াল পবন, রিয়াদ পবন, কলাইউড়া, শাহ্জালালের দল এবং অন্তঃহরির অজ্ঞান ঠাকুরের নাও নামের সাতটি দল এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
মৌলভীবাজার ছাড়াও সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার মাঝি-মাল্লারাও এ নৌকা বাইচে অংশ নেয় বলে নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির সভাপতি অলিউর রহমান জানান।
তিনি বলেন, গত দশ বছর ধরে তারা এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছেন; যা কুশিয়ারা নদীর দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষের উৎসবে রূপ নিয়েছে।
দুপুরে প্রতিযোগিতা শুরুর পর নদীর দুই তীরে নানা বয়সী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দর্শকদের ভিড় জমতে শুরু করে। তারা নেচে-গেয়ে উৎসাহ দেন প্রতিযোগীদের।
পাঁচ ধাপের এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে তিনটি দল অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা শেষে প্রধান অতিথি তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
তিনি বলেন, “গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচকে ধরে রাখতে আগামী বছরগুলোতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। সেইসঙ্গে এর আয়োজকদের সবধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।”