দিনটি পালন উপলক্ষে শুক্রবার মঠবাড়িয়ার আঙ্গুলকাটা গ্রামে শোক মিছিল, শহীদবেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর আঙ্গুলকাটা গ্রামের ২৫ জন হিন্দুকে এক রশিতে বেঁধে স্থানীয় রাজাকার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টায় আঙ্গুলকাটা গ্রামে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী শোক মিছিল নিয়ে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিকালে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা।
মঠবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মো. বাচ্চু মিয়া আকন বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর ভোররাতে ৫০-৬০ জনের একটি রাজাকার বাহিনী উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত আঙ্গুলকাটা গ্রামে হানা দিয়ে ব্যাপক লুটপাট চালায়। এ সময় তারা ৩৭ জন হিন্দু বাঙালিকে ধরে নিয়ে যায়।
“এদের মধ্যে সাত জনকে থানায় আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে তাদেরকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়।”
ওইদিন যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন জিতেন্দ্র নাথ মিত্র, শৈলেন মিত্র, বিনোদ বিহারী, ফনীভূষণ মিত্র, ঝন্টু মিত্র, নগেন কীর্ত্তনিয়া, অমল মিত্র, সুধাংশু হালদার, বিরাংশু হালদার, মধূসুদন হালদার, প্রিয়নাথ হালদার, সীতানাথ হাওলাদার, অন্নদা হাওলাদার, অনিল হাওলাদার, হিমাংশু মাঝি, জিতেন মাঝি, সুধীর মাষ্টার, অমলেন্দু হাওলাদার, অচিন মিত্র, অরুণ মিত্র, নিরোধ পাইক ও কমল মন্ডল।
মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মিয়া বলেন, “স্বাধীনতার এত বছর পার হয়ে গেলেও এখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। সূর্যমণি বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।”
শহীদ বিরাংশু হালদারের ছেলে বিকাশ চন্দ্র হালদার বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বজনহারা হয়েছি; কিন্তু শহীদ পরিবারগুরোর প্রতি কেউ নজর দেয়নি। গণহত্যার স্থানে আজও নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ। এই উপেক্ষা অত্যন্ত দুঃখজনক।”