সু চির মন্ত্রীর সফর নিয়ে আশাবাদী কাদের

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির দপ্তর বিষয়ক মন্ত্রী উ কিয়া তিন্ত সোয়ের ঢাকা সফরে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান আসবে বলে আশা করছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2017, 02:20 PM
Updated : 1 Oct 2017, 03:00 PM

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুরতা এবং ঘর-বাড়ি ছেড়ে লাখ লাখ মানুষের পালিয়ে বাংলাদেশে আসা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মধ্যে তিন্ত সোয়েকে ঢাকা পাঠাচ্ছেন সু চি।

রোববার রাতে তার ঢাকা আসার কথা। পরদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের এই মন্ত্রী।

তার এই সফরেই সংকটের সুরাহার আশায় থাকা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “মিয়ানমারের মন্ত্রী দুই দিনের মধ্যে রেসপন্স করবেন। মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্মানের সাথে স্বীকৃতি দিয়ে সেদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

“আশা করি কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের অবসান হবে।”

কয়েক দশক ধরে চার লাখের মতো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসা বাংলাদেশে নতুন করে আরও পাঁচ লাখের বেশি শরণার্থী ঢুকেছে গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে।

রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধ করে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক তৎপরতা রয়েছে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ এই বিষয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও দেশটিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে দুই প্রভাবশালী দেশ চীন ও রাশিয়া।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই দুই সদস্য দেশের সমর্থন প্রত্যাশা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও রাশিয়া দ্বিচারী ভূমিকায় রয়েছে। তারা একদিকে ত্রাণ দিচ্ছে অন্যদিকে মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বন করছে।

“ভারত যেভাবে অঙ্গীকার করে বলছে, বাংলাদেশের পাশে আছে। চীন ও রাশিয়াকে সেই রূপ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।”

রোববার কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ এবং চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধনকালে এসব বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে সেনাবাহিনী কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যতদিন পর্যন্ত স্বদেশে ফেরত না যায়, ততদিন পর্যন্ত তাদের নোয়াখালীর ভাষাণচরে অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করে আশ্রয় দেওয়া হবে। পুনর্বাসন প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কক্সবাজারের ১২টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সোলার লাইট সংযুক্ত করে রোহিঙ্গা পল্লীগুলোকেও আলোকিত করা হবে বলে জানান তিনি।

ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহজাদা মহিউদ্দিন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।