বৃহস্পতিবার রাতে সিংড়া উপজেলার তিশিখালি মাজারের কাছে শাপলা বেগম (২৮) নামের ওই নারী আহত হন। ঢাকায় নেওয়ার পথে শনিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
শাপলা বেগম সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের মালসরা এলাকার মো. মিন্টুর স্ত্রী।
সিংড়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ খোঁজখবর নিয়েছে। ওটি নিছক দুর্ঘটনা ছিল।”
নৌকার মালিক মাজিদুর রহমানের বাড়ি নাটোরের সিংড়ার সরিষাবাড়ি এলাকায়। তিনি নিজেও ওই নৌকায় ছিলেন।
মাজিদুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বুধবার সকালে তাড়াশের কয়েকজন ছেলে পিকনিকের কথা বলে তার নৌকা ভাড়া করেন।
“ওইদিন বেলা ১১টায় তারা ৪৩ জন নৌকায় ওঠেন, যাদের মধ্যে দুইজন ছিলেন নারী। নৌকায় খাওয়াদাওয়া ও নাচগানের ব্যবস্থা ছিল। এভাবে দুইদিন তারা চলনবিলে ঘোরাঘুরি করেন।”
মাজিদুর বলেন, বৃহস্পতিবার এশার নামাজের সময় তিশিখালি এলাকায় হঠাৎ নৌকার যাত্রীরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন।
“পরে দেখি একটা মেয়ে নৌকার ইঞ্জিনের ফিতার সাথে জড়িয়ে আহত হন।”
তাদের নৌকার সামনে দুটি নৌকা দেখে সেখানে পুলিশ আছে ভেবে সবাই হুড়োহুড়ি করছিল বলে পরে জানা যায়, বলেন মাজিদুর।
সিংড়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটিকে প্রথমে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেলে।
“সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের কড্ডা এলাকায় মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।”
ওই নৌকায় মেয়েটির স্বামীও ছিলেন বলে জানান মাজিদুর ও ওসি মামুন।
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেয়েটিকে ‘মেশিনারিজ ইনজুরি রোগী’ হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে কী হয়েছে জানি না।”