ফেলানী হত্যা: রিট আবেদনের শুনানি ২৫ অক্টোবর

ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যায় করা রিট আবেদনের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৫ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে।

আহসান হাবীব নীলু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2017, 11:25 AM
Updated : 8 Sept 2017, 11:26 AM

এছাড়া এ বিষয়ে করা দুটি রিট একসঙ্গে শুনানি করারও আদেশ দেওয়া হয়।   

শুক্রবার শুনানির জন্য ধার্য দিনে বিচারপতি রামায়ন ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর ও ফেলানী হত্যার বিষয়ে তার বাবাকে আইনি সহায়তা দানকারী আইনজীবী এস এম আব্রাহাম লিংকন একথা জানান।

আব্রাহাম লিংকন বলেন, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ নম্বর আদালতে ফেলানী হত্যায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরুর করা রিটের শুনানির দিন নির্ধারিত ছিল।

লিংকন বলেন, ফেলানী হত্যায় প্রথম রিট আবেদন করেন ভারতের আইনজীবী  অপর্ণা ভাট। ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সহায়তায় পরে রিট করেন ফেলানীর বাবা নুরু।

ফেলানীর বাবার রিট আবেদনের শুনানির দিনে বিচারপতি রামায়ন ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের বেঞ্চ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করে ২৫ অন্টোবর।

“এছাড়া একই বিষয়ে করা পৃথক দুই রিটের মধ্যে একটির শুনানি করতে সংশ্লিষ্ট আইজীবীদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদেশ দেয়।”

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর কাপড় আটকে যায়। এতে ভয়ে চিৎকার দিলে বিএসএফ সদস্য তাকে গুলি করে তার লাশ নিয়ে যায়।

কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ওঠে। সমালোচনার মুখে বিএসএফের আদালতে দুইবার বিচারের মুখোমুখি হন বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ও ২০১৫ সালের ২ জুলাই ওই আদালতের রায়ে খালাস পান তিনি।

এরপর সিবিআই বা অন্য কোনো নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে ফেলানী হত্যার তদন্তসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম নুরুর করা আবেদন গ্রহণ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনে বলা হয়, ফেলানীর পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অপরাধীর যাতে বিচার হয় সেজন্য সিবিআই বা একটি নিরপেক্ষ সংস্থার তদন্ত দাবি করা হয় ওই আবেদনে।

আবেদনে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

ভারতের প্রধান বিচারপতি এইচএল দাত্তু ২০১৫ সালের ১৪ অগাস্ট আবেদন গ্রহণ করে সেদেশের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিএসএফ ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নোটিশ পাঠান, যাতে আবেদনের দাবিগুলো নিয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়।

এরপর কয়েক দফা শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি।