ভারতে ফেলানীর বাবার রিটের শুনানি শুক্রবার

ছয় বছর আগে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যায় তার বাবার দায়ের করা রিট ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিন শুক্রবার।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2017, 08:17 AM
Updated : 8 Sept 2017, 08:17 AM

ফেলানীর বাবাকে আইনি সহায়তা দেওয়া কুড়িগ্রামের পিপি আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৯ নম্বর আদালতে বিচারপতি রামায়ণ ও বিচাপতি অমিতাভ রায়ের যৌথ বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য তালিকার ২৪ নম্বরে রয়েছে।

এর আগেও কয়েক দফা শুনানির কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নূরুল ইসলাম নূরু প্রায় ১০ বছর দিল্লিতে ছিলেন। সেখানে তার সঙ্গেই থাকত ফেলানী।

দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাবার সঙ্গে দেশে ফেরার পথে কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় তার। এতে ভয়ে চিৎকার দিলে বিএসএফ সদস্য তাকে গুলি করে লাশ নিয়ে যায়।

কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ওঠে। সমালোচনার মুখে বিএসএফের আদালতে দুইবার বিচারের মুখোমুখি হন বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ও ২০১৫ সালের ২ জুলাই ওই আদালতের রায়ে খালাস পান তিনি।

এরপর সিবিআই বা অন্য কোনো নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে ফেলানী হত্যার তদন্তসহ কয়েকটি দাবি জানিয়ে ফেলানীর বাবা নূরুল ইসলাম ও ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) কীরিট রায়ের করা আবেদন গ্রহণ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনে বলা হয়, ফেলানীর পরিবার ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অপরাধীর যাতে বিচার হয় সেজন্য সিবিআই বা একটি নিরপেক্ষ সংস্থার তদন্ত দাবি করা হয় ওই আবেদনে।

আবেদনে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।

ভারতের প্রধান বিচারপতি এইচএল দাত্তু ২০১৫ সালের ১৪ অগাস্ট আবেদন গ্রহণ করে সেদেশের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বিএসএফ ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে নোটিশ পাঠান, যাতে আবেদনের দাবিগুলো নিয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চায়।

এরপর কয়েক দফা শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি।