নেত্রকোণার (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়র হোসেন জানান, রোববার রাতে সদরের ধীতপুর গ্রামের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার সকালে রুমার ভাই মোমেন মিয়া বাদী হয়ে সাইফুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাইফুল ধীতপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
একই উপজেলার রুই-নয়াপাড়া গ্রাম থেকে রোববার রাতে সাইফুলের স্ত্রী রুমা আক্তারের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নেত্রকোণা জেলা শহরে গৃহপরিচারিকা দুই সন্তানের জননী রুমা ওই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে ছিলেন। আট বছর সাইফুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে সাইফুল রুমাদের বাড়িতে থাকতেন ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়র বলেন, রোববার রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাইফুলকে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
নেত্রকোণা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ নুর আলম বলেন, বিয়ের পর থেকে রুমাদের বাড়িতে থেকে থেকে সাইফুল মাঝে মাঝে অটোরিকশা চালিয়ে সামান্য আয় করতেন।
“সংসারে অভাব অনটন নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ হত। এর জেরে রোববার রাতে সাইফুল দা দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে রুমাকে হত্যা করেন।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যায় ব্যবহৃত দা জব্দ করেছে পুলিশ।