বুধবার এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে জানিয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএন এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কলেজ ভবন নির্মাণ কাজটি করছেন বান্দরবানের স্থানীয় ঠিকাদার তাপস কান্তি দাশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের ড্রপ ওয়াল নির্মাণে রডের সঙ্গে বাঁশের ফালিও ব্যবহার করা হচ্ছে।
বুধবার বিকালে সংবাদকর্মীরা ছবি তোলার পর তড়িঘড়ি করে শ্রমিকরা বাঁশ খুলে তার জায়গায় রড বেঁধে দেয়।
নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মো. রফিক সাংবাদিকদের বলেন, “ড্রপ ওয়ালে কিছু রড ঢালাইয়ের সময় দেওয়া হয়েছে। সেগুলোকে সোজা রাখা ও মসলা ধরার জন্য বাশঁ ব্যবহার করেছি। অভিযোগ আসার পর আমরা আবার বাঁশের কঞ্চি খুলে সেথানে রড বেঁধে দিয়েছি।”
আবু তাহের নামের এক শ্রমিকও একই কথা বলেন।
এ কারণে ক্ষুব্ধ বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সুর্বণা তঞ্চঙ্গ্যা ও চম্পা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, এভাবে ভবন নির্মাণ করলে যেকোনো সময় এ দেওয়াল ধসে পড়তে পারে।
ঠিকাদার তাপস কান্তি দাশ বলেন, “বিষয়টা আমি জানতাম না। তবে জানার পরপরই যেসব জায়গায় বাঁশ দেওয়া হয়েছিল সেগুলো খুলে প্রয়োজন মতো রড দেওয়া হয়েছে।
“বিষয়টি সম্পূর্ণ আমার অজান্তেই করেছে নির্মাণ শ্রমিকরা।”
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আজিজ বলেন, রডের সঙ্গে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ সত্য নয়।ঢালাই তো করা হয়নি।
“আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। বাঁশ ব্যবহারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যে বাঁশ ব্যবহার হয়েছে সেটি রড সোজা রাখার জন্য হয়ত দিয়েছিল। ঘটনা সত্য হলে তদন্তের সাপেক্ষে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”