মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তার স্ত্রী মুন্নী বেগম।
তবে সোহেল খানকে (২৭) তুলে নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোহেল খান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়িখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি চিংড়িখালী ইউনিয়নের জামুয়া গ্রামের প্রয়াত জলিল খানের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোহেলের স্ত্রীর অভিযোগ, সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে তার স্বামী একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যান। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে র্যাব ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একদল অস্ত্রধারী তাকে তুলে নিয়ে যায়। সে সময় তারা সোহেলকে মারধরও করে।
মুন্নী বেগম বলেন, সোহেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তার সঙ্গে থাকা লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। এরপর তাকে কোর্টের পেছন দিয়ে নিয়ে গিয়ে একটি কালো গ্লাসওয়ালা গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
“আমরা তার জীবনের ব্যাপারে শঙ্কিত। আমারা পরিবারের সবাই তার জন্য অত্যন্ত চিন্তিত। আমাদের তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান বাবার জন্য খুব কান্নাকটি করছে।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও আটকের কথা স্বীকার করছে না বলে জানান তিনি।
মুন্নী বেগমিআরও বলেন, ওই সময় সোহেলের সঙ্গে কয়েকজন আত্মীয়কেও গাড়িতে তোলা হয়েছিল। পরে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
সোহেলের বন্ধু নয়ন বক্স বলেন, “সোহেলের সঙ্গে আমিও আদালতে গেছিলাম। গাড়িতে তোলার আগে তারা সোহেলের হাতে হাতকড়া লাগায়। তাদের কাছে অস্ত্র ছিল। আমাদেরও গাড়িতে তোলা হলেও খুলানার দিকে রওনা ওয়ার পর কিছুদূর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল আলম বলেন, সোহেল খানের নিখোঁজের ব্যাপারে কিছু জানা নেই। এ ঘটনায় থানায় কোনো সাধারণ ডায়রিও হয়নি।
সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
সোহেল খানকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এ এম এম জাহিদুল কবীর বলেন, “সোহেল খানের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছেও তার নিখোঁজ থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর থেকে আমারও তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। তার পরিবারের কাছ থেকে সোহেলের ফোন নম্বর নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমেও তার সন্ধানের চেষ্টা চলছে।”