আমিমুল (২১) উপজেলার বেগুনগ্রামের আব্দুল গাফ্ফার মণ্ডলের ছেলে। গত বছরের ৪ অক্টোবর বগুড়া পলিটেকনিক্যালে পড়তে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে আমিমুল নিরুদ্দেশ হন বলে জানান তার বড় ভাই আতাউর রহমান।
এ ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর তার বাবা কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বলেও জানান তিনি।
আতাউর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কালাই থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে ছোট ভাই আমিমুল নিহতের খবর জানান।
“আমিমুল নিখোঁজের পর থেকে অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। গুলশানে হামলার পর পুলিশ তার বাবাকে ডেকে তার সম্পর্কে নানা জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল।”
গত শনিবার গাজীপুরে অভিযানের পরদিন রাতে পুলিশের প্রকাশ করা ছবির (রক্তাক্ত লাশের ছবি, অপ্রাপ্তবয়স্কদের দেখার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নির্দেশনা নেওয়ার অনুরোধ করা হল) উপরের সর্ব ডানের জন আমিমুল বলে দাবি তার ভাইয়ের।
কালাই থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছবি দেখানোর পর উপরের সারির সর্ব ডানের জন আমিমুল বলে জানিয়েছেন তার ভাই।
পাতারটেকে অভিযানে নিহতদের দুজনের পরিবার ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছে বলে জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ওই দুজন হলেন- সিলেটের ছাতকের সাইফুল ইসলাম বাবুল ও ঢাকার বংশাল থানার মোগরটুলি এলাকার আজিমউদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম।
এছাড়া নিহতদের মধ্যে নব্য জেএমবির ‘নেতা’ ফরিদুল ইসলাম আকাশ রয়েছেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
নিহতরা সবাই গুলশানে হামলাকারীদের দল ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য বলে পুলিশের ভাষ্য।