মঙ্গলবার ফলাফলের পরিসংখ্যান ঘোষণা করে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোতালেব হাওলাদার জানান, এবছর ৬১ হাজার ৫৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৪৩ হাজার ১৫৭ জন। পাসের হার ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ।
গতবছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এবছর এইচএসসিতে এ বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ হাজার ৩১৯ জন। এবার পেয়েছেন ৭৮৭ জন।
এবার ২৯ হাজার ৩৫৭ মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ২১ হাজার ২৫০ জন। পাসের হার ৭২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩৭১ জন।
৩২ হাজার ১৮১ জন ছেলের মধ্যে পাস করেছেন ২১ হাজার ৯০৭ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ ৪১৬ জন।
জিপিএ-৫ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর বলেন, যুক্তিবিদ্যা, অর্থনীতি ও আইসিটি- এই তিন বিষয় সৃজনশীল করা হয়েছে।
“সৃজনশীলে পাস করা সহজ, তবে ঠিকভাবে পড়াশোনা না করলে ভালভাবে পাস করা একটু কঠিন।”
তাই এবার জিপিএ-৫ কমেছে বলে মনে করেন তিনি।
এবছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাত্র দুইট প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- বরিশাল ক্যাডেট কলেজ ও পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার দুলি আউলিয়াপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
তবে এবছর একজনও পাস করেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ শাহ আলমগীর।
শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোতালেব হাওলাদার জানান, পিরোজপুর জেলা থেকে পাস করেছেন ছয় হাজার ৩৬৭ জন। এ জেলা থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন আট হাজার ৪৭৫ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ ৮০ জন।
ভোলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৭ জন। পাসের হার ৭৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। সাত হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে পাস করেছেন ছয় হাজার এক জন।
পটুয়াখালী জেলায় ১১ হাজার ৩২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে থেকে পাস করেছেন আট হাজার ২৮৩ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ জন।
বরিশাল জেলায় ২২ হাজার ১৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫ হাজার ৬৭৩ জন। পাসের হার ৭০ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৬৮ জন।
ঝালকাঠী জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৫ জন। পাঁচ হাজার ৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন তিন হাজার ২৯০ জন। পাসের হার ৬৫ দশমিক ০১ শতাংশ।
বরগুনা জেলায় পাসের হার ৫৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। পাস করেছেন তিন হাজার ৫৪৩ জন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ছয় হাজার ৫১৪ জন।জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৮ জন।