বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোণার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুরে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
মদন থানার ওসি মাজেদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আনসারুলের লাশ দৌলতপুর গ্রামে পৌঁছায়। জানাজা শেষে রাতেই বাড়ির সামনের পুকুর পাড়ের কবর স্থানে তার দাফন হয়।
জেলা প্রশাসক মুশফিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ হারেছ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ শাহরিয়ারসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা জানাজায় অংশ নেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সোহেল মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আনছারুলের জন্যে এলাকাবাসি কেঁদেছে। চোখের জলে আমরা তাকে চিরবিদায় দিয়েছি।”
দাফনের পর কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী আনছারুলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পনেরো হাজার টাকা দেন সহায়াতার জন্য।
পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে আনছারুল তৃতীয়। তিয়শ্রী এনএইচখান একাডেমি থেকে ২০০৩ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন।
২০০৬ সালে পুলিশে যোগ দেওয়া আনছারুল সর্বশেষ কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনসে দায়িত্বরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যের ওপর বোমা হামলা হলে দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ চার জন নিহত হন।