আনসার ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার ওই আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আলী হোসেন (৫৫) নামের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা ।পরে ক্যাম্প থেকে আনসার সদস্যদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুট করে।
শনিবার আলী হোসেনের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইলের সফিপুরের নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা কবির জানান।
এদিকে ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে আটক এবং লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করেতে পারেনি পুলিশ।
তবে ওই ক্যাম্পের আশেপাশের এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোচনীর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের আশপাশের পাহাড়ী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে।
“তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার এবং লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।”
জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
আনসার ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, “এ ব্যাপারে পুলিশ খোঁজ-খবর নিচ্ছে।”
শুক্রবার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনী এলাকার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের আনসার ক্যাম্পে হামলায় ৩০/৩৫ জন দুর্বৃত্ত অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়।
হামলাকারিরা ১১ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি লুট করে বলে জানায় পুলিশ।