বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেজাউল হক চৌধুরী জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য জাহিদ ও ইমনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তাদের হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান জাহিদের বাবা ইমরান আলী।
ইমরান আলী বলেন, তাদের বুকের ব্যথা রয়েছে। এ কারণে তারা ভালোভাবে কথা বলতেও পারছে না। এছাড়া এখনও তারা ঠিকমতো হাঁটতেও পারছে না।
রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসাপাতালের ৪ নম্বর সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক এম এস রায় বলেন, তাদের কী ধরনের সমস্যা বা কেন বুকের ব্যথা হচ্ছে তা পরীক্ষা করার পর জানা যাবে।
ভর্তির পর তাদের কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে দোয়ারি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বৃহপতিবার দুপুরে কয়েকশ’ নারী, পুরুষ ও শিশু দোয়ারি মোড়ে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করে। এ সময় দোষীদের শাস্তির দাবি করে শ্লোগান দেয় তারা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি পবা উপজেলার বাগসারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসান ও ইমনকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে গিয়ে রাকিবের বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে।
পরদিন এ ঘটনায় দুই সেনা ও র্যাব সদস্যসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জাহিদের বাবা ইমরান আলী।