মেলায় জারি-সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, মারফতি, লালনগীতিসহ বিভিন্ন অঞ্চলের লোকসংগীত, লোককবিতা ও ছড়াপাঠের আয়োজন রয়েছে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, পসরা সাজিয়ে বসেছে রাজশাহীর শখের হাঁড়ি, রংপুরের শতরঞ্জি, সোলা শিল্প, সোনারগাঁয়ের নকশিকাঁথা, বাঁশ-বেত শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের ১৭২টি স্টল।
শখের হাঁড়ি তৈরির কারিগর সুশান্ত কুমার পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাজশাহী অঞ্চলে আগে প্রায় সাড়ে চার হাজার কারিগর ছিল। এ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। তিনি ছাড়া এখন এ পেশায় আর কেউ নেই বলে তার ধারণা।
এ পেশায় থেকে রুটি-রুজি হচ্ছে না বলে সবাই অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
রাঙ্গামাটির হাতে পোশাক তৈরির কারিগর শিউলি বেগম বলেন, “আমাদের এলাকার ঐতিহ্য মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্যই মেলায় এসেছি।”
মেলায় বেচাকেনা ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই মেলার আয়োজন।
“দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা চারু ও কারু শিল্পীদের তৈরি পণ্য মেলার মাধ্যমে প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ রয়েছে।”
মেলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ হাজার লোকের আগমন ঘটবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
মেলা চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।