ফেনীর আদালত পুলিশের পরিদর্শক আরিফ ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান খানের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন ঢাকার সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
“আগামী ৩১ ডিসেম্বর এর উপর শুনানি হবে।”
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ জুন রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপুল এলাকায় র্যাব অভিযান চালিয়ে তিনটি মাইক্রোবাস থেকে ১৫টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৮টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় দেড়শ রাউন্ড গুলিসহ আওয়ামী লীগের ২৬ নেতা-কর্মীকে আটক করে।
এ ঘটনায় র্যাবের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ইব্রাহিম ৭ জুন ফেনী মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার এসআই আজিজ আহম্মেদকে।
২৯ জুন আসামিদের আদালতে তোলা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা নয় আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে এবং অন্যদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অধিক তদন্তের জন্য গত ৩০ অগাস্ট মামলাটি সিআইডিতে দেওয়া হয়।
ঢাকার সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কৌশিক আহম্মেদ ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করলেও আদালতে মামলার মূল নথি না থাকায় শুনানি হয়নি।
মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য তৃতীয়বারের মতো তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকার সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাকে।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ২৬ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে ফেনী কারাগারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ১৭ ডিসেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।
ফুলগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সালেহ আহম্মেদ মিন্টুসহ (৩৫) এ মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।