শুক্রবার রাতে এদের আটক করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আ ফ ম আজমল।
তবে তাদের পরিচয় এবং কোন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে এ ঘটনায় আরও তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ওই তিন জনকে মসজিদের কোষাধ্যক্ষের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান।
এরা হলেন, বগুড়ারার মোলামগাড়ি এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক সামছুল আলম,মাদ্রাসা ছাত্র জুয়েল ও মাঝিহট্ট এলাকার আনোয়ার হোসেন।
এদের মধ্যে এমদাদুলকে শুক্রবার রাতে এবং বাকি দুজনকে শুক্রবার ভোরে আটক করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। বগুড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের শুনানি হবে।”
বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় উপজেলার কিচক হরিপুর গ্রামের আল মস্তেফা মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় নিহত হন ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন (৭০)। আহত হন ইমাম শাহিনুর রহমান (৬০) ও নামাজ পড়তে আসা স্থানীয় বাসিন্দা তাহের মিস্ত্রি (৫০) ও আফতাব আলী (৪০)।
মুসল্লিরা যখন সিজদায়, তখনই তিন যুবক গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।