বৃহস্পতিবার দুপুরে আলীকদম উপজেলার দুর্গম কুরুকপাতা বাজার মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে বুধবার সেনাবাহিনীর কাছে ৫৫টি গাদা বন্দুক, ৭৬টি পোশাক, ৯৯ রাউন্ড গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জমা দেন তারা।
আত্মসর্মপণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সফিকুর রহমান, বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকীব আহমেদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা প্রমুখ।
প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যমকর্মীরাও ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।
ম্রো জনগোষ্ঠীর প্রতি বর্তমান সরকার আন্তরিক উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বীর বাহাদুর অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় ম্রো যুবকদের ধন্যবাদ জানান।
তাদের কর্মসংস্থানেরও আশ্বাস দেন তিনি।
মেজর জেনারেল সফিকুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘু ম্রো জনগোষ্ঠীর একটা ঐতিহ্যগত সম্পর্ক ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী সোহার্দ্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে ম্রোদের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
সেনাবাহিনী ও এমএনডিপির মধ্যে সমন্বয়কারীর কাজ করেন সামাজিক সংগঠন ম্রো স্যোশাল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ও থানছি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো।
তিনি অনুষ্ঠানে বলেন, ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তির পর অন্যান্য আদিবাসীরা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা পেলেও পিছিয়ে পড়ে ম্রো আদিবাসীরা ।
“অধিকার আদায়ের কথা বলে ২০০৯ সালে ম্রো ন্যাশনাল ডিফেন্স পাটি (এমএনডিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। গড়ে উঠা এ সংগঠনটি দেশি ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০১১ সালের দিকে আলীকদমের পোয়া মুহুরীতে ঘাঁটি স্থাপন করে খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পড়ে দলটি।”
তিনি জানান, এরপর তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ম্রো নেতা ও সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান রাংলাই ম্রো, জেলা পরিষদের সদস্য সিংয়ং ম্রো ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অংপ্রু ম্রোসহ কয়েকজন সামাজিক সংগঠন ম্রো স্যোশাল কাউন্সিল গঠন করেন।