“তারা সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন।”
Published : 24 Jul 2024, 01:37 PM
কোটা আন্দোলন ঘিরে নৈরাজ্যের মধ্যে কারফিউর কারণে রাঙামাটিতে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে ফিরেছেন।
রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পদক মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে জেলার বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে প্রায় ৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছিলেন।
সোমবার ও মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পর্যটকরা ধাপে ধাপে ভাড়ার গাড়িতে করে রাঙামাটি ছাড়েন বলে জানান তিনি।
বুধবার রাঙামাটিতে কোনো পর্যটক আটকা নেই বলে জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
এর আগে শহরের স্কয়ার পার্ক হোটেলের মালিক নেয়াজ আহমেদ তার হোটেলে ২২ জন, হোটেল ইপশা’র মালিক মো. ইউসুফ তার হোটেলে ৩৫ জন এবং হোটেল গ্র্যান্ডমাস্টারের পরিচালক শাহীন আল মামুন তাদের হোটেলে ১০ জন পর্যটক আটকা পড়েছিল বলে জানিয়েছেন।
তবে রাঙামাটি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলছিলেন, তার হোটেলে কোনো পর্যটক আটকা ছিল না।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলছেন, “যেসব পর্যটক আটকা পড়েছিলেন তারা সহযোগিতা চেয়েছিল। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছি। তারা সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন। ”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঢেউ পাহাড়ে:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেশজুড়ে পরিচালিত কোটা সংস্কারের আন্দোলনের আঁচ পড়েছিল পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও।
কোটা সংস্কারের জন্য রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট ও কৃষি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কালিন্দীপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে সারাদেশের মত রাঙামাটিতেও ইন্টারনেট বন্ধ ও কারফিউ জারি হলে ব্যহত হয় পার্বত্য এই শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে কারফিউর মধ্যে সড়কে লোকজনের চলাচল দেখা গেছে।
যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকলেও মোড়ে মোড়ে পুলিশের কড়া পাহারা ও নজরদারি ছিল। কিন্তু বিজিবি বা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি।
২৩ জুলাই জেলা কোর কমিটির সভায় কারফিউ শিথিল করার পর ধীরে ধীরে রাঙামাটির জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।