মানিকগঞ্জে বালু ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কোর্টকান্দি মোড়ে (ভাদাইমার মোড়) মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ভাঙনের শঙ্কা থেকে বালু ব্যবসায় বাধা দেওয়া এক আইনজীবীকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কোর্টকান্দি মোড়ে (ভাদাইমার মোড়) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

আহত নাসির উদ্দীন ওই গ্রামের মো. সোনামদ্দিনের ছেলে। তিনি কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য।

মানববন্ধনে কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম (চাঁন) বলেন, “এই কোটকান্দি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আবার পদ্মাপাড়ে আনলোড বসিয়ে তা আনলোড করছে। ফলে এই এলাকার পদ্মা তীরবর্তী এলাকা গভীর হয়ে ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে।

“এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে আমাদের ইউনিয়নের ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনকে মারধর করে আহত করে। মারধরের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির দাবি করছি।”

আইনজীবী নাসির উদ্দীন বলেন, “আমাদের ইউনিয়নের ৭০-৭৫ শতাংশ পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। কাঞ্চনপুরে পদ্মায় ড্রেজার চললে বাকী অংশও ভেঙে যাবে। এছাড়া ট্রাকে বালু নেয়া হলে বালু উড়ে স্থানীয় বাসিন্দের বাড়ি ঘরে চলে যায়।

তাই বালু কাটা বন্ধে স্থানীয় লোকজন বার বার আমাদের কাছে এসেছে।

“এসকল বিষয়ের প্রতিবাদ করলে শুক্রবার রাতে শহিদুলসহ সোহাগের লোকজন আমার উপর হামলা করে।”

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আজহার উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, থানা শ্রমিক দলের সভাপতি বাদশা গায়ান প্রমুখ।

তবে হামলার বিষয় অস্বীকার করে জেলা কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান সোহাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকেকে বলেন, “নিরব আহমেদ রাজ্জাকসহ আমরা ১০-১২ জন জায়গা ভাড়া নিয়ে বৈধ বালু কিনে এনে গদিতে ফেলছি। আমি ৩ দিন ধরে ঢাকায় ছিলাম।

“দলীয় এক নেতার কাছ থেকে শুনলাম নাসির ভাইয়ের সঙ্গে কয়েকজনের ধ্বস্তাধস্তি হয়েছে। আমাদের লোকজন কোনো ধরনের হামলা করেনি।”

হরিরামপুর থানার ওসি আব্দুল মুমিন খান বলেন, “মারধরের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।”