এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন, এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
Published : 09 May 2024, 09:59 PM
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় ‘অটোরিকশার স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ’ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আর অর্ধশতাধিক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে।
নিহতরা হলেন- গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া, শুকুর মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির, লিলু মিয়া ও আনু মিয়া।
আহতদের হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আগুয়া বাজারে অটোরিকশার স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আলী আহমদ বলেন, “বাজারে বসেছিলাম। হঠাৎ করে দেখি উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।”
ইদ্রিস আলী নামে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, “অটোস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। অপর দুজন হাসপাতালে মারা গেছেন। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।”
অটোস্ট্যান্ডের ম্যানেজার বদির মিয়া দাবি করেন, “চালক কাদির মিয়ার সঙ্গে সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তাদের লোকজনকে খবর দেয়। পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।”
মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল মিয়া বলেন, “বদির মিয়া ও তার লোকজন স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। কাদির মিয়া আজকে স্ট্যান্ডে গেলে তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।”
“এ সময় তারা আমাদের চারজন হত্যা করে”, বলেন সোহেল মিয়া।
এ ব্যাপারে মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছু মিয়া বলেন, “দুপক্ষের মধ্যে পূর্বশত্রুতা ছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে আজ অটোস্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর পরই আমি থানায় খবর দেই। হাসপাতালে আহতদের খোঁজ-খবর নিয়েছি।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাঙ্গামাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।