তিনি ভুয়া ‘ম্যাজিস্ট্রেট’, একাই পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত!

৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহারিয়া জাহানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার এক মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে হাজির হয়ে বিভিন্ন লাইসেন্স দেখতে চান এক ব্যক্তি, নিজেকে ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ দাবি করে করেন জরিমানা। কিন্তু দোকানমালিক জরিমানার রশিদ চাইলেই বাধে বিপত্তি। রশিদ দিতে না পেরে ব্যবসায়ীদের হাতে ধরা খেয়ে যান এই ‘ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট’।

বুধবার বিকালে উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিনখারহাট বাজারে কালাম বগুড়া মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান হয়েছে বলে জানান ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান।

গ্রেপ্তার শাহারিয়া জাহান (৫০) রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন বলে জানান ওসি।

কালাম বগুড়া মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আশিকুর রহমান বলেন, শাহারিয়া জামান দোকানে এসে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন। জানান তিনি একাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে দোকানের বিভিন্ন মিষ্টি ভালো না বলতে থাকেন। নানা অনিয়ম খোঁজার চেষ্টা করে, দেখতে চান দোকানের বিভিন্ন লাইসেন্স।

“একপর্যায়ে বলেন- ‘১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দেন।’ তখন আমি তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে বলি- আপনি এসেছেন সম্মানে এটা দিলাম।”

আশিকুর আরও বলেন, “যখন রশিদ চাইলাম, তখনই নানা টালবাহানা করতে থাকেন। আমার আগে থেকেই ওনাকে দেখে সন্দেহ হচ্ছিল, রশিদ দিতে না পারায় তখন নিশ্চিত হলাম উনি ম্যাজিস্ট্রেট না।

“এছাড়া যখন ম্যাজিস্ট্রেট বের হয় তখন তার সাথে পুলিশসহ অন্যরাও থাকে। উনি এসেছেন একা। পরে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে উনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তখন বলে উনি ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট।”

ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, “৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহারিয়া জাহানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

“পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিকালে শাহারিয়া জাহানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।”