অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, বিষ প্রয়োগে বীজতলা বিনষ্ট করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
Published : 21 Jul 2023, 11:12 AM
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় জমি বিরোধের জেরে বিষ প্রয়োগে আমনের বীজতলা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
কলমাকান্দা থানার ওসি আবুল কালাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোড়াগাঁও গ্রামের সাজু মোড়লের ছেলে আশরাফুল আলম তার চাচা খোরশেদ আলম ও মো. নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এর পরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
আশরাফুল আলম লিখিত অভিযোগে বলেন, চাচা খোরশেদ আলম ও নুরুল ইসলামের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন দুই চাচা। এ অবস্থায় গত বুধবার সকালে ১ একর .৬০ শতাংশ আমন বীজতলার জমিতে দুই চাচা তাদের লোকজন নিয়ে বিষ ছিটানো শুরু করেন। এতে বাধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আশরাফুল আলমকে ধাওয়া দেন ও পুরো বীজতলায় বিষ প্রয়োগ করেন। এর পর থেকে আমন ধানের চারা হলদে হয়ে ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছে।
আশরাফুল আরও বলেন, “পরিবারের সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করেও চারা রক্ষা করতে পারিনি। প্রায় ত্রিশ একর জমিতে আমন চাষের জন্য এই বীজতলা করেছিলাম। এতে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়। এখন পুরো ত্রিশ একর জমিই পতিত থাকবে। কারণ চারা কিনে রোপন করার মত এই মুহূর্তে হাতে টাকাও নেই।
“আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আমাদের সঙ্গে শত্রুতা ছিল তাদের। ধানের চারার সাথে তো শত্রুতা ছিল না। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বীজতলার জমিতে ‘আগাছানাশক জাতীয় বিষ’ প্রয়োগ করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।”
এ বিষয়ে খোরশেদ আলম ও মো. নূরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কলমাকান্দা থানার এসআই মো. আশিকুর রহমান জানান, বিষ প্রয়োগে বীজতলা বিনষ্ট করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে ওই থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, দোষীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।