মারামারি হয় হাসপাতাল এলাকাতেও। পরে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
Published : 12 Mar 2025, 01:15 AM
ভোলার মনপুরায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের অনুসারীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার হাজীরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার জন্য কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের অনুসারীদের দায়ী করেছেন আলমের অনুসারীরা। তবে নয়নের অনুসারীদের দাবি, তারা উল্টো হামলার শিকার হয়েছেন।
নেতাকর্মী ও বাজারের লোকজন বলেন, এদিন সকালে রাজনৈতিক সফরে মনপুরা আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও ভোলা-৪ চার আসনের সাবেক সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম।
সন্ধ্যার পর তিনি যান উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে। এরপর সেখানে উপজেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লোকমানকে গালাগালি করেন বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে মো. আপপান।
কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে যুবদল নেতা লোকমানকে মারধর করেন আপপানসহ সাত-আটজন। এ ঘটনার পরেই নাজিম উদ্দিন নেতাকর্মীকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যান।
পরে কেন্দ্রীয় যুবদলনেতা নয়নের অনুসারীরা আপপান, হোসেন, রুবেল, ইব্রাহিম, সাব্বিরসহ নেতাকর্মীরা বাজারে গিয়ে আলমের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আরাফাত রহমান কোকো পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহিম; স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক নেতা আব্দুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল, ছাত্রদল নেতা শাহিন আলম, আবুল কাশেম, সাবিত ও সোহেল।
আহতদের মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানেও হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে নয়নের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
পরে মনপুরা থানা পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালের সামনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে যুবদলের সাবেক নেতা লোকমান হোসেন বলেন, “আমি পার্টি অফিস থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে আপপান আমার ওপর হামলা চালায়। গাড়ি থেকে নামিয়ে আমাকে মারধর করা হয়।”
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, “নাজিম উদ্দিন আলম বাজারে ঢোকার পর আমাদের লোকজন মিছিল করে। এ সময় আমাদের ছেলেরা মিছিল নিয়ে বাজারের উত্তর মাথায় যাওয়ার পর সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহমান ও কালু আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা চালায়।
“এতে আমাদের অন্তত পাঁচ থেকে সাতজন আহত হয়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে চলে গেছে।”
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামস উদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী বলেন, “মান্নান হাওলাদারের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। নাজিম উদ্দিন আলম যতবার মনপুরায় এসেছেন, ততবারই তারা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে।”