মামলার প্রধান আসামি আলী আজম মুকুলকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Published : 19 Sep 2024, 12:13 AM
হত্যা চেষ্টাসহ তিনটি অভিযোগে ভোলা ২ আসনের আওয়ামী লীদের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পরান আহসান বাদী হয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহ মো. আহসান উল্লাহ সুমন জানান।
মামলায় সাবেক এমপি মুকুল ছাড়াও বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগ, আওয়ামী যুবলীগ নেতা সবুজ গোলদার, হুমায়ুন গোলদার, নুরনবী ও নুর উদ্দিন ফরাজীকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি আছেন ৪-৫ জন।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, সাবেক এমপি আলী আজম মুকুলের নির্দেশে আসামিরা ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে বাদীকে অপহরণ করে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাজারে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইবনে মাসুদ সোহাগের অফিস কক্ষে নিয়ে যান।
সেখানে সাবেক এমপি মুকুলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় বাদীর কাছ থেকে টাকা, হাতঘড়ি ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যওয়া হয়।
পরে আলী আজম মুকুলের নির্দেশে আসামিরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে প্রবেশ করে সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহীমসহ বিএনপির গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করেন তারা।
এর প্রায় ৪-৫ ঘন্টা পর স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন বলে বাদী মামলায় বলেন।
বাদীর আইনজীবী আহসান উল্লাহ সুমন সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে ভোলা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ভোলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, তিনি এ সংক্রান্ত একটি মামলার কথা শুনেছেন। তবে এখনো আদালত থেকে তাদের কাছে কোনো কাগজপত্র না আসায় বিস্তারিত বলতে পারছেন না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করার জন্য মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি আলী আজম মুকুলকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।