সভা করতে না পেরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগে মাহিন বলেন, “এসব ক্যাম্পাস তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারি।”
Published : 12 Sep 2024, 11:33 PM
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকারকে দেখে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়েছে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের একটি পক্ষ। এতে ক্যাম্পাসে মতবিনিময় না করেই ফিরে যায় মাহিনের পক্ষটি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনী।
এ সময় সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে মাহিন সরকারসহ অন্য নেতারা অবস্থান নেন।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বগুড়ায় আসেন। তিনি বগুড়ায় নিহতদের কবর জিয়ারত, পরে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বিকালে সরকারি আজিজুল হক কলেজের মুক্তমঞ্চে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া।
এতে মাহিন সরকার যোগ দিতে গেলে শিক্ষার্থীদের অন্য পক্ষটি তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে দুইপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেওয়া পক্ষের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সমন্বয়ক হিসেবে সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে চিনি। অন্য কোনো সমন্বয়ককে মানি না। ওই দুই সমন্বয়ক না এলে কোনো কর্মসূচি হবে না।
এ সময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা পক্ষটি আলোচনায় বসার আহ্বান জানালে তারা তা প্রত্যাখান করেন।
পরে সেনাবাহিনী এসে মাহিন সরকারসহ অন্যদের নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে বসেন।
বৈঠক চলাকালে কলেজ চত্বরে প্রতিপক্ষটি বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানায়।
সমন্বয়ক মাহিন সরকারকে কলেজ চত্বর ত্যাগ করতে ১০ মিনিটের আলটিমেটাম দেন তারা।
সাত মিনিটের মাথায় সন্ধ্যা পৌণে ছয়টার দিকে মাহিন সরকার সেনাবাহিনীর সহায়তায় গাড়িতে উঠে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন৷
এ সময় মাহিন সরকার বলেন, “সরকারি আজিজুল হক কলেজের মুক্তমঞ্চে আসার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানাই। কিন্তু মুক্তমঞ্চ থেকে একটি পক্ষ ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে।
তারা সার্জিস ও হাসনাতদের ছাড়া অনুষ্ঠান করতে দেবে না। এ নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে।
মাহিন আরও বলেন, “সিরাজগঞ্জ, নাটোরেও গণ্ডগোল হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব করা হচ্ছে। আমরা যেকোনো সময় রক্ত দিতে প্রস্তুত এবং এসব ক্যাম্পাস তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারি।”
এ বিষয়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।