১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি, জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
Published : 03 Oct 2024, 05:39 PM
দশ কোটি টাকার চাঁদা দাবি ও জমি দখলের একটি মামলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তাররের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দবিরুল ইসলামকে হাজির করে পুলিশ।
এ সময় ওই আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন জানান।
এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানার রামনাথহাট বাজার এলাকার প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাবেক এ সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জয়নাল বলেন, “গত ৩ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের ব্যবসায়ী হাবিবুল ইসলাম বাবলু বাদী হয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি, জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
“ওই মামলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুলকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া দবিরুলের সহযোগী ২৭ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও এ মামলার আসামি।”
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী হাবিবুল ইসলাম বাবলুর করা চাঁদাবাজি, জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির মামলায় দবিরুল ইসলামের ছেলে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামকে সুজনকে ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে সিপিবি থেকে ১৫-দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নির্বাচিত হন দবিরুল। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
২০১৮ সালে জামায়াতের প্রার্থীকে পরাজিত করে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন দবিরুল। সবশেষ ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তার জায়গায় ছেলে মাজহারুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে মাজহারুল জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।