গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার দেশে ফিরেছেন।
দুটি মামলার আসামি রকিব গ্রেপ্তার আতঙ্কের মধ্যে রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সৌদি এয়ার লাইন্সের একটি বিমানে করে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন।
স্বামীর সঙ্গে দুটি মামলার আসামি মাহিয়া মাহি ওমরা পালন শেষে শনিবার সকালে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা কারাবাসে ছিলেন।
একদিন পর আসা রকিব বিমান বন্দর থেকে সরাসরি তার উত্তরার বাসায় যান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমান বন্দরে নামার পর পুলিশ আমাকে কোনো হয়রানি করেনি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।“
মামলাগুলো আইনিভাবেই মোকাবেলা করবেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “অবশ্যই সত্যের জয় হবে। আমি কোনো অপরাধ করিনি। আদালত যে রায় দেবে আমি তা মাথা পেতে নেব।”
শুক্রবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাসন থানার এসআই মোহাম্মদ রুকন মিয়া এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন বাদী হয়ে চাঁদা দাবি, মারধর ও ভাঙচুরে হুকুমের আসামি করে মাহিয়া মাহি ও রকিব সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গাজীপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী রকিব ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। রকিবকে বিয়ে করার পর রাজনীতিতে নামা মাহি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমও কিনেছিলেন তিনি।
শুক্রবার ভোরে গাজীপুরে রকিবের গাড়ির বিক্রয় কেন্দ্র সনিরাজ কার প্যালেসে ভাংচুর হয়েছিল। ওই জমি নিয়ে রকিবের সঙ্গে স্থানীয় আরেক পক্ষের বিরোধ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওমরাহ পালনে সৌদি আরবে থাকা মাহি ও রকিব ওই ঘটনার পর ফেইসবুকে লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগও আনেন তারা।
পরে শনিবার সকালে দেশে ফিরলে মাহিকে বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা কারাবাসের পর রাত সাড়ে ৭টায় তিনি গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: