“রানা মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরলে মুক্তার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।”
Published : 05 Jan 2025, 06:32 PM
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় এক নারীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে উপজেলা শহরের কাজিরহাট এলাকা থেকে মুক্তা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয় বল সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন জানান।
নিহত মুক্তার বয়স ২৫ বছর। তিনি ওই এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রানার স্ত্রী এবং একই উপজেলার কুন্দল পশ্চিমপাড়া গ্রামের নান্নুর মেয়ে।
মুক্তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ মুক্তার স্বামী রানাকে (৩২) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি ফইম বলেন, “মুক্তার সঙ্গে ১৬ দিন আগে রানার বিয়ে হয়। শনিবার গভীর রাতে রানা মাদক সেবন করে বাড়ি ফিরলে মুক্তার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রানা বালিশ চাপা দিয়ে মুক্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
“এরপর লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য বোন লাভলিকে মুক্তার বাপের বাড়িতে খবর দিতে বলেন। এ কথা শুনেই থানায় খবর দিয়ে রানাকে পুলিশে হস্তান্তর করেন লাভলি।”
মুক্তার মা জাহেদা বেগমের অভিযোগ, “স্ত্রী-সন্তান থাকার তথ্য গোপন রেখে বোন লাভলীর সঙ্গে এসে আমার মেয়েকে বিয়ে করে রানা। বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই রানা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার মেয়র ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
“শনিবার রাতে আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করেছে রানা। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।”
ওসি ফইম বলেন, “পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে রানা। এ ঘটনায় নিহত মুক্তার মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”