নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে খুনের মামলার আসামি গ্রেপ্তারে ব়্যাবের অভিযান চলাকালে হামলার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁ এলাকা থেকে তাদের প্রেপ্তার করা হয় বলে সোনারগাঁও থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বরগাঁ এলাকায় র্যাবের ওই অভিযানের মধ্যে গোলাগুলিতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধি হন আরও একজন।
নিহত আবুল কাশেম (৬৫) ওই এলাকার প্রয়াত কদম আলীর ছেলে। হুমায়ূন কবির (৫০) নামে গুলিবিদ্ধ অন্যজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি ওই এলাকার প্রয়াত ছদরুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে৷
হামলার ঘটনার পর র্যাব খুনের মামলার আসামি মো. সেলিমকে (২৫) ধরে নিয়ে যায়। দুই ঘণ্টা পর র্যাব ওই এলাকায় ফের অভিযান চালিয়ে ২০ জনে আটক করে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জিম্মায় ছেড়ে দিয়ে বাকি ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর রোববার ভোরে র্যাব ১১-এর আদমজী ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট আফিসার মো. নাসিরউদ্দিন ২১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ব়্যাব তাদের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ এনেছে বলে জানান পুলিশের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. সেলিমকে (২৫)। গ্রেপ্তার বাকি পাঁচজন হলেন নিহত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), তিনি পেশায় জামদানি কারিগর, তার তিন ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), আমানুল্লাহ (৪২) হযরত আলী এবং ২৫ বছর বয়সী নাতি মো. রুবেল। গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আহসান উল্লাহ বলেন, “মামলায় ব়্যাব বলেছে, হত্যা মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন তারা৷ ওই সময় আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করা হয়৷ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে ব়্যাব৷”
অভিযানে যাওয়া র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর মাহমুদ পাশা বলছিলেন, খুনের আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে গিয়ে তারা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত শুক্রবার সোনারগাঁওয়ে এক নারীর গলাকাটা লাশ পাওয়া গিয়েছিল৷ সেই হত্যাকারীকে আমরা শনাক্ত করি এবং সেই আসামি সেলিমকে ধরতেই সোনারগাঁয়ের বরগাঁ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ব়্যাব।
“আমরা আসামিকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে আসার সময় কিছু দুষ্কৃতকারী আসামিকে ছিনিয়ে নিতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ব়্যাবের উপর হামলা করে, গুলি করে৷ তখন আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়ে আসামিকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে ব়্যাব। পরে সকালে নিউজ পেয়েছি যে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন এবং একজন আহত আছেন।”
অভিযানে চার র্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান কমান্ডার পাশা। তবে তাদের কেউ গুলিবিদ্ধ নন।
পুরনো খবর-