টেকনাফে অপহৃত ৫ কৃষকের মধ্যে মুক্তি মিলেছে চারজনের

জিম্মি অপরজনকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2024, 04:21 AM
Updated : 24 March 2024, 04:21 AM

কক্সবাজারের টেকনাফে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ অপহৃত পাঁচ কৃষকের মধ্যে চারজনকে ‘পুলিশের অভিযানের মুখে’ ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জিম্মি অপরজনকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

শনিবার রাত পৌনে ১টায় হ্নীলা ইউনিয়নের শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পশ্চিমের গহীন পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি। 

উদ্ধাররা হলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার ফকির আহম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), একই এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে মো. জিহান (১৩) ও মো. ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মো. শামীম ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রহমান।

এখনও মুক্তি মেলেনি একই এলাকার আব্দু রকিমের ছেলে মোহাম্মদ নুরের।

অপহরণের পর স্বজনরা জানিয়েছিলেন, বুধবার রাতে ওই পাঁচ কৃষক পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় খেত পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরের আগে মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের তুলে নিয়ে যায়।

অপহৃত একজনের মা বলেছিলেন, “পরে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি স্বজনদের মোবাইলে কল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মোহাম্মদ নূরের স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।“

ওসি ওসমান গনি বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপহৃত পাঁচ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালায়। পরে রাতে শালবন ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে গহীন পাহাড়ে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। 

“অভিযানের এক পর্যায়ে কোণঠাসা হয়ে দুর্বৃত্তরা চার জনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এ সময় উদ্ধার হওয়াদের চোখ-মুখ ও হাত-পা খোলা ছিল। 

“তারা জানিয়েছে, জিম্মি হওয়ার পর থেকেই তাদের চোখ বাধা অবস্থায় থাকলেও হাত-পা খোলা ছিল। ছেড়ে দেওয়ার আগে দুর্বৃত্তরা তাদের চোখের বাঁধনও খুলে দেয়।“ 

ওসি বলেন, “অপহৃতদের মধ্যে এখনো একজন জিম্মি রয়েছে। তাকে উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” 

উদ্ধার হওয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  পাঠানো হয়েছে বলেও জানান মুহাম্মদ ওসমান গনি। 

পুরানো সংবাদ

Also Read: টেকনাফে ৫ কৃষক ‘অপহরণ’, ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি