ঠাকুরগাঁওয়ে যুবলীগ নেতাকে ‘নির্যাতন’, ওসি প্রত্যাহার

এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দেয় আদালত।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2023, 01:54 PM
Updated : 11 May 2023, 01:54 PM

ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় নির্যাতনের অভিযোগে সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে মোবাইল ফোনে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সদর থানার ওসি কামাল হোসেনকে উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শকের অফিস রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়ারুল ইসলামকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার দুপুরে যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান পুলক বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন।

মামলায় ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন, পরিদর্শক (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায়, মোহাম্মদ হাফিজ, এএসআই মো. মোতালেবকে আসামি করা হয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে আদেশ দেওয়ার সময় থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সদর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার বরাবর নির্দেশ এবং ওই সময়ের মধ্যে আসাদুজ্জামান পুলকের চিকিৎসা প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার জন্য জেলার সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য বিচারিক হাকিম মো. আলাউদ্দীনকে নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে আয়োজিত বৈশাখী মেলা থেকে জেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক খালিদ সিরাজ রকিকে আটক করে মারপিট করে পুলিশ। এ সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলক। তিনি সদর থানার ওসি কামাল হোসেনের কাছে রকিকে আটক ও মারপিট করার বিষয়টি জানতে চান। এতে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলককেও আটক করে থানায় নিয়ে যান।

অভিযোগে বলা হয়, এরপর ওসির রুমের ভেতরে পুলকের হাতে হাতকড়া পরানো হয় এবং চোখে গামছা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান ওসি, পরিদর্শক (অপারেশন) লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায়, মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেব। এক পর্যায়ে পুলক নিস্তেজ হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে তাকে লকআপে ভরে রাখা হয়।

এজাহারে আরও  বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরদিন [৩০ এপ্রিল] সকালে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ ১৫১ ধারায় আসাদুজ্জামান পুলক ও খালিদ সিরাজ রকিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। ২ মে তারা জামিনে মুক্ত হন।

মারধরের কারণে পুলকের বাম হাত ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পুলকের আইনজীবী আব্দুর রহিম বলেন, পুলক ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নির্যাতনের বিচার চেয়ে একটি আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। আদালতের মাধ্যমে আমরা ন্যায় বিচার পাবো বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন:  

Also Read: হাতকড়া পরিয়ে, চোখ বেঁধে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে