“ছাত্রদলের নেতা বাতেন এসে প্রথমে আমাদেরকে বলেন, এটা এক নম্বর ওয়ার্ডের অনুষ্ঠান, কিন্তু ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেন এই ইফতার মাহফিল করছেন। এই বলে আমাদের উপর চড়াও হন।”
Published : 20 Mar 2025, 12:49 AM
টাঙ্গাইলে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার বিকেলে শহরের কোদালিয়া এলাকার কেডি মসজিদের সামনের মাঠে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ছাত্রদল ও বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে সেখানেই জামায়াতের লোকজন ইফতার করেন বলে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানান, বুধবার শহর জামায়াত কেডি মসজিদের সামনের মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জেলা ছাত্রদলের ২০-২৫ জনের একটি দল ইফতার মাহফিল বন্ধ করার জন্য আয়োজক কমিটিকে ‘চাপ’ দিতে থাকেন। জামায়াত নেতারা অনড় অবস্থান নিলে উত্তেজনা তৈরি হয়। ছাত্রদলের নেতারা সেখানে মারমুখী অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়।
পরে জামায়াতের জেলা আমীর আহসান হাবীব মাসুদ এবং পুলিশের একটি দল এসে ছাত্রদলের নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ছাত্রদলের নেতারা চলে যান। পরে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সেখানেই ইফতার করেন।
শহর জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, “ছাত্রদলের টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এম এ বাতেন তার সঙ্গীদের নিয়ে আমাদের ইফতার পার্টি করতে বাধা দেন। এ সময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং মাইক বন্ধ করে দেন।
“ছাত্রদলের নেতা বাতেন এসে প্রথমে আমাদেরকে বলেন, এটা এক নম্বর ওয়ার্ডের অনুষ্ঠান, কিন্তু ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কেন এই ইফতার মাহফিল করছেন। এই বলে আমাদের উপর চড়াও হন। তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশক অবগত করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ স্বাভাবিক করে।”
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদল নেতা বাতেন বলেন, “ইফতার অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের হট্টগোল হয়নি। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমি আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছি জানার জন্য। এলাকায় কে বা কারা ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে সেটা জানতে।”
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ বলেন, শহর জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী খবর দিলে পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে যায়।
“এরপর পরিবেশ স্বাভাবিক হলে সবাই মিলে মিশে সেখানে ইফতার করেছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এখন নাই।”