“স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মিজানের সঙ্গে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা বিপুলের বিরোধ চলে আসার বিষয়টি সকলে জানে,” বলছেন স্বেচ্ছাসেবকের আবু হাসান।
Published : 10 Sep 2024, 11:16 AM
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বগুড়া সদরে প্রাণক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা; যাতে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানের মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, সোমবার রাত ৯টায় উপজেলার গোকুল এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৭) কোপানো হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষের লেদু মিয়াকে (৩৫) দেখতে পেয়ে হামলা চালায় মিজানের লোকজন।
পরে শহীদ জিয়া মেডিকেলে মিজানকে মৃত ঘোষণা করা হয় জানিয়ে ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিলাদুন্নবী বলেন, মিজানের অনুসারীরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লেদুর ওপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মৃত ঘোষণা করা হয় লেদুকে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মিজান গোকুল এলাকার আফসার আলী সাকিদারের ছেলে। তার সঙ্গে একই এলাকার বিপুলের বিরোধ দীর্ঘদিনের। বিপুল গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের বহিষ্কৃত সভাপতি। তার অনুসারী নিহত লেদু মিয়া ওই এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাতে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিজের কার্যালয়ে বসেছিলেন মিজান। তখন লোড শেডিং চলছিল। রাত ৯টার দিকে ৮-১০ জনের একদল অস্ত্রধারী বাইকযোগে এসে মিজানকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়।
মিজানুরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, মিজানকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার লোকজন প্রতিপক্ষ বিপুলের অনুসারী লেদুকে মারধরের পাশাপাশি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পুলিশ লেদুকে উদ্ধার করে একই হাসপাতালে নেয়।
এরইমধ্যে মিজানকে মৃত ঘোষণা করা হলে তার অনুসারীরা পুলিশি বাধা অতিক্রম করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে লেদুকে ফের মারধর করে। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে লেদুর মৃত্যু হয়।
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঘটনার বিষয়ে গোকুল ইউনিয়ন যুবদলের বহিষ্কৃত সভাপতি বিপুলের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
জানতে চাইলে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু হাসান বলেন, মিজানুর রহমান মিজান তার সংগঠনের প্রাণ ছিলেন।
“তার সঙ্গে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা বিপুলের বিরোধ চলে আসার বিষয়টি সকলে জানে। ওই বিরোধের জের ধরেই মিজানকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিপক্ষের মারপিটে লেদু নামে একজন নিহত হয়েছে।”
সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, দুই হত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের চিহিত করে গ্রেপ্তার করা হবে।