বুধবার বিকালে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হন অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।
Published : 18 Oct 2024, 10:41 AM
শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার অভিযোগে তিনটি মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান ভুইয়া তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান।
এর আগে বুধবার বিকালে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আটক হন চন্দন কুমার পাল।
পরে শেরপুর সদর থানা পুলিশ বিশেষ স্কটে তাকে শেরপুরে নিয়ে এসে তিন মামলায় গ্রেপ্তার ও ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে।
তাকে আদালতে নিয়ে আসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। আদালতে তার পক্ষে জামিন ও রিমান্ডের শুনানিকালে একঝাঁক আইনজীবী নেতা অংশ নেন।
পরে উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে আদালত রিমান্ডের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ২২ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন।
কোর্ট পরিদর্শক জিয়াউর রহমান জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ অগাস্ট বিকালে শেরপুর শহরে সবুজ মিয়া, সৌরভ ও মাহবুব নামে তিন ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে পৃথক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে আসামি করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালের সহোদর অ্যাডভোকেট শক্তিপদ পাল বলেন, “তিনি একজন সিনিয়র আইনজীবী, বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তি। জেলা আইনজীবী সমিতির দুদফায় সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো ঘটনা বা মামলার সঙ্গেই তিনি জড়িত নন।”
কেবল রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই তার ভাইকে ওইসব মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।