স্টেশন মাস্টার সস্ত্রীক কেবিনে গেলে তরুণী তাদের বসতে বাধা দিয়ে টিকিট আছে কিনা জানতে চান।
Published : 02 Nov 2024, 09:13 PM
কেবিনের টিকিট নিয়ে তরুণীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. খলিলুর রহমানকে পেটানোর অভিযোগ এসেছে।
স্টেশন মাস্টার স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন স্কুলশিক্ষক স্ত্রী।
শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে বলে রেলওয়ে থানার ওসি লিটন মিয়া জানান।
এতে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’ এক ঘণ্টা বিলম্বে স্টেশন ছেড়ে যায়।
আহত খলিলুর রহমানকে বর্তমানে জেলা সদরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগের বরাতে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি লিটন মিয়া বলেন, শনিবার সকালে স্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান স্ত্রীকে নিয়ে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ‘খ’ বগির ডবল কেবিনে উঠেন।
ওই কেবিনে আগে থেকেই তুষি (২২) নামে এক তরুণী ছিলেন।
তিনি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম তারাপাশা এলাকার প্রয়াত নিলু মিয়ার মেয়ে।
স্টেশন মাস্টার সস্ত্রীক ওই কেবিনে গেলে তরুণী তাদের বসতে বাধা দিয়ে টিকিট আছে কিনা জানতে চান।
স্টেশন মাস্টার নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তুষি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
ট্রেনটি কুলিয়ারচর স্টেশনে পৌঁছলে স্টেশন মাস্টার দুটি টিকিট কেটে আবারো ওই কেবিনে ঢুকেন। তখনও তুষি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে তরুণী মোবাইল ফোনে ঘটনাটি তার ভাইকে জানান।
দুপুরে ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে তুষির ভাইসহ চার-পাঁচজন খলিলুর রহমানের ওপর চড়াও হন। তারা খলিলকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।
খবর পেয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
স্টেশন মাস্টারের স্ত্রী বাজিতপুরের মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উম্মুল সায়খা দিতি বলেন, স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি নিজেও মারধরের শিকার হয়েছেন। এ সময় তার গলা থেকে একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। তার স্বামীর মোবাইল ফোন সেটটিও ভেঙে ফেলে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, “স্টেশন মাস্টারের আঘাত গুরুতর হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত।”
ওসি লিটন মিয়া বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করা গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ আটক হননি।