হামলাকারী পক্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, তারা ভুয়া।
Published : 15 Sep 2024, 09:49 PM
মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আয়োজিত কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত চার জন।
রোববার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
হামলায় আহতরা হলেন- মাদারীপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিয়ামত উল্লাহ (২২), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর তামিম আশিক (২৩), দ্বাদশ শ্রেণির ইসতিয়ার আহম্মেদ (২০) ও শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা সাথী (২১)।
তাদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে।
ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মাদারীপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে কাওয়ালি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে জুবায়ের আহম্মেদ নাফি নামে এক শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশের কিছু কর্মী বাধা দেন।
একপর্যায়ে নিয়ামত উল্লাহ নামে এক শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ইউএনও ওয়াহিদা শাবাব, সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপক্ষের সমঝোতায় অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
পরে প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে আবারো শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা চালানো হয়।
এতে আহত হয় আরো তিন শিক্ষার্থী।
আহতদের তিনজনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। যদিও হামলার পর পুরো অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।
এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও আহত ছাত্ররা।
অনুষ্ঠানের পক্ষের শিক্ষার্থী মিথিলা ফারজানা বলেন, “সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কাওয়ালি সংগীত হওয়ায় আমরা মাদারীপুরে ছাত্র-জনতার উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। সেখানে অতর্কিতভাবে একটি পক্ষ হামলা চালিয়ে আমাদের ভাইদের আহত করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।”
এ বিষয়ে হামলাকারী পক্ষের দিহান সরদার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “যারা কাওয়ালি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে, তারা ভুয়া। এখনো যেখানে আমাদের ভাইদের রক্তের দাগ শুকায়নি। সেখানে তারা নাচ-গানের আসর বসিয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।