তুফান সরকারের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। পরে তার পরিবারের লোকজন ওই কিশোরী ও তার মাকে তুলে নিয়ে মাথা মুণ্ডন করে দেয়।
Published : 27 Nov 2024, 07:46 PM
কিশোরীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়ের মাথা মুণ্ডন করে দেওয়ার অভিযোগে আলোচিত বগুড়ার সেই শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকারকে দুদকের একটি মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দায়ে বুধবার বগুড়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে দুদকের কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ জানান।
তুফান সরকার বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। তিনি বগুড়া শ্রমিক লীগের শহর শাখার বহিষ্কৃত আহ্বায়ক।
তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাও রয়েছে। সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের এসএসসি পাশ করা এক কিশোরীকে ভাল কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করেন তুফান। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী।
বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ একদল সন্ত্রাসী ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেন।
এদিকে দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, তুফানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে দুদক। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন দুদক বগুড়া কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুদকের বগুড়ার কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলায় দুটি ধারায় তুফান সরকারের ১৩ বছরের সাজা হয়েছে। এর মধ্যে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ২৬ (২) ধারায় তির বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ২৭ (১) ধারার অপরাধের জন্য ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তার অবৈধ সম্পদ এক কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তুফান সরকার বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এ দণ্ডাদেশ কার্যকর হবে বলে জানান আইনজীবী।
তুফানের ফাঁসি, তার স্বজনদের মাথা ন্যাড়া করার দাবি