ধর্ষণের পর মাসহ মস্তক মুণ্ডন ও নির্যাতনের শিকার বগুড়ার সেই কলেজছাত্রী ও তার মাকে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
Published : 08 Nov 2017, 06:59 PM
ছাত্রীটির বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার বগুড়ার শিশু আদালতের বিচারক মোহা. ইমদাদুল হক এ আদেশ দেন।
শিশু আদালতের বিশেষ পিপি আমান উল্লাহ জানান, মেয়েটির বাবা তার স্ত্রী ও মামলার বাদীকে নিজ জিম্মায় নিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানির দিন ছিল বুধবার।
“এদিকে মেয়েকেও নিজ জিম্মায় নিতে বুধবার আবেদন করেন তিনি।
“আদালত শুনানি শেষে মা ও মেয়েকে তার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেয়।”
পিপি বলেন, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে আদালত থেকে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিজ জিম্মায় নেন। এরপর তারা কোথায় থাকবেন সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সহযোগীসহ গ্রেপ্তার তুফান
মামলার অভিযোগ, গত ১৭ জুলাই এক কলেজছাত্রীকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন তুফান সরকার। পরে ২৮ জুলাই তুফানের আত্বীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির বাসায় নিয়ে গিয়ে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।
পুলিশ মামলার প্রধান আসামি বগুড়ার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা, শাশুড়ি রুমি খাতুন ও শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিকে গ্রেপ্তার করেছে।
পরে গ্রেপ্তার করা হয় অনান্য আসামি তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনু, সহযোগী আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, জিতু ও নাপিত জীবন রবিদাসকে।