কারাগার ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে; স্থানীয় লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকেন।
Published : 07 Aug 2024, 11:24 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে আটক হওয়া আসামিরা সিরাজগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার সময় অন্যরাও বের হওয়ার জন্য কারা অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করেন।
এ পরিস্থিতিতে কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও কারাগারের ঘণ্টি বাজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে বিক্ষোভ থামান।
বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কারাগারের কর্মকর্তারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সিরাজগঞ্জ জেলায় আটক হওয়া ব্যক্তিরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার থেকে কারাগার থেকে মুক্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় বুধবার বিকালে অন্য আসামিরাও কারামুক্ত হওয়ার জন্য কারা অভ্যন্তরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা কারাগারের ভেতরের প্রধান ফটক ও পেছনের দেয়াল ভাঙার চেষ্টা করেন।
এ পরিস্থিতিতে কারারক্ষীরা ভেতরে ও বাইরে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন এবং কারাগারের সতর্ক সংকেত ঘুণ্টি বাজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান।
এ সময় কারাগার ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কোনো আসামি কারাগার থেকে বের হতে পারেননি।”
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কারাগারের সুপার এসএম কামরুল হুদা বলেন, “নির্বাহী আদেশে আদালতের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ কারাগার থেকে মঙ্গলবার ১৫১ জন এবং বুধবার সকালে আরো ২৩ জন মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে কারাগারে বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৪১৩ জন বন্দি রয়েছেন। এ অবস্থায় বিকালে অন্য মামলার আসামিরাও নিজেদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনৈতিক দাবি করে কারাগারে বিক্ষোভ করার পাশাপাশি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। দ্রুত টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং সতর্ক সংকেত বাজিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ কাজে সহযোগিতা করেন। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বা কারাগার থেকে কেউ পালাতে পারেনি।”