কাঞ্চন পৌরসভার দুই মেয়র প্রার্থীকে শোকজ করে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
Published : 10 Jun 2024, 09:59 PM
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভা নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও উপজেলা পরিষদের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকালে পুলিশের ওসি ও সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।
ঘটনার পর বিকালে দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছিলেন। সেখানে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজাল্লি ইসলাম এবং রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে দুই মেয়র প্রার্থী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত দেওয়ান আবুল বাশারের (বাদশা) সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন এবং সম্মেলন কক্ষে ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, “সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালা ও প্রজেক্টর ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার এক ঘণ্টা পর বেলা ১টার দিকে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।”
তবে এ ঘটনায় দুই প্রার্থী একে-অপরকে দোষারোপ করেছেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিনা কারণে উত্তেজিত হয়ে আমার প্রস্তাবকারীর শরীরে হাত তোলেন। বিষয়টি সমর্থকরা মেনে নিতে পারেননি। কে, কী করেছেন প্রশাসনের লোকজন সবই দেখেছেন।”
অন্যদিকে আবুল বাশার বলেন, “আমাকে চেয়ারে বসতে না দেওয়ায় সমর্থকরা প্রতিবাদ জানান।”
ঘটনাটিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক বলেন, “দুই প্রার্থীকে শোকজ করে লিখিত চাওয়া হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”