ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৫ জন ভর্তি হন বলে জানা গেছে।
Published : 04 Aug 2024, 05:07 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগের মধ্যে ফেনী শহরে ছাত্র-জনতার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার দুপুরের মধ্যে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ সড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহীপাল মোড় এলাকায় সংঘর্ষে এসব নিহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও সদর উপজেলার বারাহীপুর এলাকার ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ (১৯), সদর উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (২০), পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (২১), সোনাগাজীর চর মজলিশপুর মান্দারি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাকিব (২২), দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর জয়লস্কর এলাকার মো. শাহজাহানে ছেলে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সরোয়ার জাহান মাসুদ (২১), লক্ষ্মীপুরের আব্দুল মালেকের ছেলে অটোরিকশা চালক সাইফুল। বাকি দুইজন অজ্ঞাত।
ফেনী আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আসিফ ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুর থেকে আমাদের এখানে আটটি লাশ এসেছে। এসব লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেন। সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ থাকে যানচলাচল।
দুপুর দেড়টার দিকে শহরের ট্রাংক রোড থেকে দলবল নিয়ে শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে মহিপাল যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে মহিপাল এলাকায় পৌঁছালে তাদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে মুহুর্মুহু গুলি, হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা মহিপালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন।
একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি পক্ষ শহরের ইসলামপুর রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও হামলা করে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাড়াও ইট–পাটকেলের আঘাতে অনেকে আহত হন। বিকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৫ জন ভর্তি হন বলে জানা গেছে।