ডাকাতরা ১০-১২ হাজার টাকা, ড্রয়ারে রাখা ও মহিলাদের শরীরে থাকা সাত-আট ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
Published : 05 Nov 2024, 03:10 PM
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় জানালার গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় বাড়ির মালিকের ছেলেকে মারধোর ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ডাকাতদল।
পুলিশের ধারণা, ডাকাতদলের এক বা একাধিক সদস্যকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের এক বাড়িতে এ ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়ী থানার ওসি সানোয়ার হোসেন।
নিহত আলেফ উদ্দিন (৩৫) বাড়িটির মালিক ও সুপারী ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের ছেলে।
শফি উদ্দিন বলেন, আনুমানিক রাত ২টার দিকে রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ১০ থেকে ১২ জনের মুখোশ পড়া সশস্ত্র ডাকাতদল তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে।
“ডাকাতরা ঢুকেই আমি, আমার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে আলেফ উদ্দিন, আনিছুর রহমান এবং ছেলের বউ সোমাইয়া বেগমসহ সবার হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। মারধোর করতে করতে টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায় আছে দেখিয়ে দিতে বলে।
“এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে থাকা রাখা ১০-১২ হাজার টাকা, পাঁচ-ছয় ভরি স্বর্ণালংকার এবং মহিলাদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ আরও দুই-তিন ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।”
শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, “তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার পরও আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে মারধোর করে মুখে কাপড় গুজে দিয়ে নাক-মুখ গলা চেপে ধরে হত্যা করে।”
সন্তানহারা এই মা দাবি করেন, “প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়।”
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ও ফুলবাড়ী থানার ওসি সানোয়ার হোসেনসহ পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির মালিকের ছেলে আলেফ উদ্দিন হয়তো ডাকাতদের চিনতে পেরেছে। সে কারণে ডাকাতরা তাকে মেরে ফেলেছে।”
পুলিশ অনুসন্ধান করে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
গুরুত্বসহ এই ঘটনার তদন্ত করছেন জানিয়ে ওসি সানোয়ার হোসেন বলে, “নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো এবং থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”