দুই দল কিশোরের ঝগড়ার জেরে দুই মহল্লার লোকজন রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
Published : 10 Sep 2024, 12:07 PM
শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সাবেক এক নেতাসহ দুইজন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনায় অন্তত পাঁচটি দোকানে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- শেরপুর শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে ট্রলিচালক মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) এবং একই মহল্লার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলোয়র হোসেন মিন্টুর ছেলে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (২২)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই দল কিশোরের মধ্যে শাপলা চত্বরে কথা কাটাকাটি হয়। ওই ঘটনার জেরে রাতে দুই মহল্লার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার মধ্যে গৌরীপুর মহল্লার ট্রলিচালক মিজানকে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুটি দল তাকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে গুরুতর আহত শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার ভোরে তিনিও মারা যান। শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণ নৌহাটা মহল্লায় বসবাস করতেন।
সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সংঘর্ষের পর এলাকায় টহল শুরু করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। আহতরা সবাই শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, হতাহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।