নিহত মীর আরিফ মিলন ছয়সূতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
Published : 16 Sep 2024, 08:06 PM
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের প্রাণ গেছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার ছয়সূতী এলাকায় এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে কুলিয়ারচর থানার ওসি সারোয়ার জাহান জানান।
নিহত মীর আরিফ মিলন ছয়সূতী পূর্বপাড়া গ্রামের জমির উদ্দিন জাবু মিয়ার ছেলে। তিনি ছয়সূতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।
তারা বলছেন, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজারে রোববার ওয়াজ মাহফিল হওয়ার কথা ছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরীর।
কিন্তু কুলিয়ারচর ইমাম ও উলামা পরিষদ তাতে আপত্তি তোলে। মাওলানা তাহেরীকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে চিঠি দেন উলামা পরিষদের নেতারা।
এ পরিস্থিতিতে গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী আর কুলিয়ারচরে যাননি। কিন্তু এর জেরেই সোমবারের সংঘর্ষ বাঁধে।
এদিন মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ছয়সূতী ইউনিয়ন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রথাবনাথ বাজার থেকে মাধবদী এলাকা ও লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে পুনরায় প্রথাবনাথ বাজারে ফিরে যাচ্ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি সারোয়ার জাহান বলেন, মিছিল থেকে কিছু লোক ছয়সূতী বাস স্ট্যান্ডের কাছে মসজিদে অবস্থানরত ইমাম-উলামা পরিষদের সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে। পরে ইমাম-উলামা পরিষদের লোকজন মিছিল লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়লে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন ইমাম-উলামা পরিষদের সঙ্গে থাকা মিলন। তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত অন্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
মিলনের মৃত্যু ও মসজিদ ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এক পর্যায়ে প্রথাবনাথ বাজারে পাশের কয়েকটি ঘর ও দোকান ভাঙচুরসহ লুটপাট করা হয়।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সহকারী পুলিশ সুপার (ভৈরব সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
ওসি সারোয়ার জাহান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি, কেউ আটকও হননি।